বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলোর মধ্যে অন্যতম সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত৷ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা এই তিন নদীর অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগণা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জুড়ে বিস্তৃত। ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা
সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে
বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে। নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় বনভূমি হলো সুন্দরবন।
মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা,খাঁড়ি,বিল মিলিয়ে জনাকীর্ণ অঞ্চল।
সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রকার জীববৈচিত্র্য যেমন – রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির এবং সাপসহ বিভিন্ন জাতের প্রাণী। জরিপ অনুযায়ী ১০৬টি বাঘ এবং ১,০০,০০০থেকে ১,৫০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবন বাংলাদেশে “সুন্দরবন” এবং ভারতে “সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান” নামে পরিচিত। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে
সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা, চর এবং ছোটো ছোটো দ্বীপমালা।
পুরো সুন্দরবন অঞ্চল জুড়ে রয়েছ সুন্দরী এবং গেওয়ার পাশাপাশি ধুন্দল,কেউড়া,শন,নল খাগড়া,গোলপাতা। কেউড়া নতুন তৈরি হওয়া পলিভূমিকে নির্দেশ করে।বনভূমির পাশাপাশি সুন্দরবনের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে নোনা এবং মিঠা পানির জলাধার, আন্ত:স্রোতীয় পলিভূমি, বালুচর, বালিয়াড়ি। বেলে মাটিতে উন্মুক্ত তৃণভূমি এবং গাছ ও গুল্মের এলাকা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন, ঠিক তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।এটি দেশের বনজ সম্পদের মধ্যে একক বৃহত্তম উৎস। এই বন কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পে কাঁচামালের যোগান দেয়।এছাড়াও কাঠ, জ্বালানি ও মন্ডের পাশাপাশি এই বন থেকে নিয়মিত ব্যাপকভাবে আহোরণ করা হয় ঘর ছাওয়ার পাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কচ্ছপ,কুঁচি, কাঁকড়া,শামুক এবং ঝিনুক।বৃক্ষপূর্ণ সুন্দরবনের ভূমি একই সাথে প্রয়োজনীয় আবাসস্থল, পুষ্টি উৎপাদক, পানি বিশুদ্ধকারক, পলি সঞ্চয়কারী, ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক, উপকূল স্থিতিকারী, শক্তি সম্পদের আধার এবং পর্যটনকেন্দ্র।
মোঃ ওসমান গনি শুভ
শিক্ষার্থী, পালি এ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কক্সবাজারের সন্তান এ এম এম নাসির উদ্দীন
- কক্সবাজারে নানা আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
- কক্সবাজারে শঙ্কার মাঝেও বাণিজ্য মেলার অনুমতি, প্রধান সমন্বয়ক আ.লীগ নেতা!
- আওয়ামী শাসন আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে -রামু’তে জেলা জামায়ত আমীর
- চবি ছাত্রশিবিরের ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
- টেকনাফে সাবেক ওসি রনজিতের অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ
- চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে আ.লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ
- জেলায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার পরিবার
- চকরিয়া উপজরলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকাল
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
- চকরিয়ায় ঝুলন্ত ফেরিওয়ালার মরদেহ উদ্ধার
- শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজন আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন -চকরিয়ায় মাসুদ সাঈদী
- চকরিয়া উপজরলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকাল
- জেলায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার পরিবার
- টেকনাফে সাবেক ওসি রনজিতের অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ
- কুতুবদিয়ায় আলোচিত ৪ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়া শহর পরিস্কারের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের ১০১ দিবস উদযাপন
- চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে আ.লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ
- আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে গায়েবি মামলার আসামি এবি পার্টির নেতা
- কক্সবাজারের বনে ১২ হনুমান উদ্ধারের ১০ দিন পর ৫৮টি বন্য পাখি উদ্ধার
- কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি প্রত্যাহার
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
পাঠকের মতামত: